টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দোকান কর্মচারী যুবক শাকিল হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী রাকিব হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
সোমবার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকন কুমার এ জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দিতে রাকিব বলেন, ধেরুয়া গ্রামের নয়া ড্রাইভারের মেয়ে সুবর্ণার সাথে শাকিলের ছিল প্রেমের সম্পর্ক। ওই প্রেম এক সময় দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়। শাকিল তার প্রেমীকার সাথে দৈহিক সম্পর্ক মোবাইলে ভিডিও করে সুবর্ণককে বিয়ের কথা না বলে তাকে জিম্মি করে।
এই খবর সুবর্ণার ভাই শুভ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শাকিল ছিল মাদক সেবনকারী। তাই শুভ আরেক মাদক সেবনকারী শাকিলের বন্ধু রাকিবের সরনাপন্ন হয়। ঘটনার দিন রাতে শুভ রাকিবকে দিয়ে শাকিলের মুঠোফোনে ফোন করিয়ে বাড়ির পাশে ট্রেনলাইনে ডেকে আনে।
তারা তিনজনে কথা বলতে বলতে ট্রেনলাইন ধরে হাটতে থাকে। কিছুক্ষনপর আচমকা শাকিলকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দুইজনে মিলে চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায় শাকিল নিস্তেজ হয়ে পড়লে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে শুভ ও রাকিব চলে যায়।
রাকিব আরো জানায় তাদের মূল উদ্ধেশ্য ছিল দৈহিক সম্পর্ক ধারন করা মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেওয়া।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মির্জাপুর থানা পুলিশ শাকিলের লাশ বাইমাইল চক থেকে উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রাসেল নামে এক যুবককে আটক করে। তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ ঘটনার মুল নায়ক রাকিবকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
পরে রাকিব সোমবার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকন কুমারের কাছে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়।
ঘটনার সাথে জড়ীত আরেক আসামী শুভকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান ওসি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...