নাজ গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক লায়ন নজরুল ইসলাম (৬৪) আর নেই (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
বুধবার সকাল ৮টায় ঢাকার নাখাল পাড়ার নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ঢাকাস্থ টাঙ্গাইল জেলা সমিতির সভাপতি ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
লায়ন নজরুল ইসলাম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ভায়েটা এলাকায় ১৯৫৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী আব্দুল কদ্দুস এবং মাতার নাম রওশন আরা বেগম। ৬ ভাই ২ বোনের মধ্যে নজরুল ইসলাম তৃতীয়।
তিনি চট্রগ্রামের পতেঙ্গা এবং টাঙ্গাইলের ভায়েটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারি সা’দত কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন। কর্মজীবনে একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। লায়ন নজরুল ইসলাম অত্যন্ত সহজ-সরল ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে টাঙ্গাইলে সুপরিচিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে তাঁর হার্টে রিং লাগানো হয়। বুধবার সকাল ৮ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
প্রথমে ঢাকায় পরে বাদ আছর লায়ন লজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে কলেজ প্রাঙ্গণেই দাফন করা হয়েছে।
জানাযার নামাজে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, লায়ন নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমানসহ সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যুকালে স্ত্রী সৈয়দা আমেনা ইসলাম, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বড় মেয়ে নাজিয়া ইসলাম ঈতিশা রহিম আফরোজ কোম্পানীতে এক্সিকিউটিব অফিসার হিসেবে কর্মরত ও ছোট মেয়ে নওরিন ইসলাম নাতাশা যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত। এক ছেলে ইজহারুল ইসলাম উদয় ঢাকায় লেখাপড়া করছেন।
লায়ন নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে তার নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। লাশ বাড়িতে আনার পর একনজর দেখতে হাজারো মানুষ ছুটে আসেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...