টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এবার সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষক রেজাউল করিমসহ চারজনের নাম উলেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক রেজাউল করিম উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের স্কুল পড়–য়া সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রেজাউল করিম ধর্ষণ করে। এর আগে ওই শিক্ষার্থীকে প্রায় ৬মাস আগ থেকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রেজাউল করিম।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইলে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। পরে বাড়ির পাশের নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি আর্ত-চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ধর্ষককে আটক করে।
পরে ধর্ষকের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে জোরপুর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয় ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদুকে জানানো হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার বাড়িতে পার্শ্ববর্তি গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ও ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফসহ এলাকার গন্যমান্যব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশের আয়োজন করে। পরবর্তিতে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ধর্ষিতার পিতা জাহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যান সালিশের আয়োজন করে। সালিশে ধর্ষকের সাথে বিয়ের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। এঘটনায় থানায় মামলা না করার জন্য ধর্ষকসহ তার পরিবার নানাভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম কাউছার চৌধুরী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষকসহ চারজনের নাম উলেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় চেয়ারম্যানরা সালিশের আয়োজন করেছিল বলে বাদী মামলায় উলেখ করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...