টাঙ্গাইলের মধুপুরে কথিত স্বামী সেজে স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে রুবেল (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই স্ত্রী খদ্দের থেকে বেহাত হয়ে যাওয়ায় অপহরণ ও গণধর্র্ষিত হয়েছে অভিযোগ করে নিজেই ফেঁসে গিয়ে অভিযুক্ত ৬ জনের সাথে ওই রুবেল স্ত্রীসহ জেল হাজতে এখন বন্দি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত দীর্ঘ ও পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ রহস্যের কিনারা করে অভিযুক্তদের সাথে অভিযোগকারি রুবেলকে আটক করে থানায় আনে।
রুবেল মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ধামাবাসুরি গ্রামের জনৈক আব্দুল মালেকের ছেলে। তার কথিত স্ত্রী আফরোজা (২২) দেলদুয়ারের পাথরাইলের দশকিয়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে।
অন্য আটকরা হলেন- আমুআটা গ্রামের মজিবরের ছেলে হেলাল (২৫), মজিদ মিয়ার ছেলে রুবেল (২৪), ধামাবাসুরি গ্রামের মোতালেবের ছেলে হাফিজুর (২৬), হামিদের ছেলে জায়দুল (২৭), আরফান আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৬), নুর আলীর ছেলে হাসেম (২৫)।
অভিযানকারী মধুপুর থানা পুলিশের এসআই ফকরুল ইসলাম, আবু সালেক জানান, কথিত স্বামী রুবেল আফরোজাকে নিয়ে মাস খানিক আগে নিজ গ্রাম ধামাবাসুরিতে বসসাস শুরু করেন। চালচলন বেপরোয়া ও সন্দেহজনক হওয়ায় এলাকাবাসী তাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন।
মধুপুর পৌর এলাকার কাঁঠালতলী মোড়ে এক বাসা নিয়ে তারা থাকা শুরু করেন। সেখান থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী রুবেল মোটরসাইকেলে করে নিজ এলাকার খদ্দের মজিবরের ছেলে হেলাল ও মজিদ মিয়ার ছেলে রুবেলসহ তিনজনের কাছে টাকার বিনিময়ে আফরোজাকে দিয়ে আসেন। রাতে তাদের কাছ থেকে হাফিজুর, জায়দুল, সোহেল রানা, হাসেমরা ছিনিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ খবর শুনে শুক্রবার দুপুরে কথিত স্বামী রুবেল তার স্ত্রী আফরোজা অপহরণ ও গণধর্ষিত হয়েছে বলে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে খদ্দের ও অপহরণকারীদের ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে আসল রহস্য উদ্ধার করে কথিত স্বামী রুবেলসহ ৭ জনকে থানা হাজতে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।
যোগাযোগ করলে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ও অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...