ভূঞাপুরে সালমা বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার খুপিবাড়ী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ছামান আলী এটিকে হত্যা বলে দাবী করছেন। এদিকে এ ঘটনায় নিহত সালমার স্বামী গোলাম রসূলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সালমা উপজেলার রামপুর উত্তরপাড়া গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী ও ভূঞাপুর পৌর এলাকার বেতুয়া গ্রামের ছামান আলীর মেয়ে।
জানা যায়, উপজেলার বেতুয়া গ্রামের ছামান আলীর মেয়ে সালমার সাথে চার বছর আগে রামপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী খাঁর ছেলে গোলাম রসুলের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সালমার বাবার অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী গোলাম রসুল নির্যাতন করে আসছিল। বিভিন্ন জিনিস দাবী করে মারধর করতো। এনিয়ে গত ২০১৬ সালে গ্রাম্য সালিশ হয়। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের সামনে গোলাম রসুল লিখিত দেন পরবর্তিতে সালমাকে নির্যাতন করা হবে না।
পৌরসভার বেতুয়া ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্বে সালমাকে নির্যাতন না করার জন্য তার স্বামী লিখিত দিয়েছিল। ঘটনার দুই মাস আগেও সালমাকে মারধর করেছে।
আটক সালমার স্বামী গোলাম রসুল জানান, সালমা পেটের ব্যথায় ভুগছিল। গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। শুক্রবার সকালে অসুস্থ্যবোধ করলে ভ‚ঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল জাহিদুজ্জামান জুয়েল জানান, মেয়েটি পেটের ব্যথায় ভুগছিল। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ভূঞাপুর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, সালমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটা হত্যা না অন্যকিছু।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...