২৩ মে অনুষ্ঠিত নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় বারের মত স্থগিত করা হয়েছে।
১৮ মে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসাইন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান এর যৌথ বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। মঙ্গলবার (২৩মে) এই ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ধলাই ও মারমা এবং ৯ নং ওয়ার্ডের আটাপাড়া মৌজা যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার কারনে উক্ত মৌজা দুটির বাসিন্দাগন ভারড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় এবং কিছু লোক অন্য উপজেলায় বসবাস করছে। ওয়ার্ড ২ টির সীমানা পূনঃনির্ধারন করে ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস করার জন্য ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আ. কুদ্দুস মিয়া হাই কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাই কোর্ট বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামী ৩ মাসের জন্য ভারড়া ইউপি নির্বাচন স্থগিত করেন।
জানা যায়, বিগত ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নাগরপুর উপজেলার ভারড়াসহ ১২ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় সীমানা নির্ধারনের বিষয় নিয়ে আরড়া গ্রামের আ. মজিদ মিয়া হাই কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাই কোর্ট ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে সীমানা পূনঃনির্ধারন করার আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা আনসার ভিডিপি ও সীমানা নির্ধারনী কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী ৮ নং মারমা মৌজার ১ ও ২ নং সিট এবং ধলাই মৌজার ১টি সিট নিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড এবং ৯ নং ওয়ার্ডের আটাপাড়া মৌজার ৩টি সিট নিয়ে ৯নং ওয়ার্ড গঠন করেন। যার উত্তরে টাঙ্গাইল সদর, দক্ষিনে শাহজানী ও ধলাই মৌজার সীমানা। যা ২০১৬ সালের ২৫ আগষ্ট গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। এরপর আ. মজিদের দায়ের করা রিট হাই কোর্ট খারিজ করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার তৌহিদ ইলাহী জানান, ২৩ মে অনুষ্টিতব্য ভারড়া ইউপি নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও হাইকোর্ট থেকে নির্বাচন আগামি তিন মাস স্থগিত করার একটি কপি হাতে পাই। এতে জানতে পারি ভারড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আ. কুদ্দুস মিয়া সিমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...