টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নুপুর (২০) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরাইলে।
বৃহস্পতিবার সকালে দেলদুয়ার থানা পুলিশ পাথরাইল থেকে এক কি:মি দুরে নলশোধা গ্রামে একটি কাপড় শোখানো আড়ায় নুপুরের ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের মা হেনা বেগম জানান, গত তিন বছর আগে দেলদুয়ার সদর উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের চান মিয়া ও হেনা বেগমের মেয়ে নুপুরের সাথে পাথরাইলের আশোক আলীর ছেলে শিমুলের সাথে বিয়ে। তাদের ঘরে একটি সন্তানও আসে। নুপুরের স্বামী শিমুল দুবাই থাকে। কয়েকদিন আগে ছুটি কাটিয়ে আবার দুবাই চলে গেছে। গত রাত দুইটার সময় নুপুরের শাশুরী ফোনে জানায় নুপুরকে প্ওায়া যাচ্ছে না। নুপুর ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে সকালে জানতে পারে।
নিহত নুপুরের পরিবারের দাবি, তাকে মেরে পাশের গ্রামে রাতের কোন এক সময় বাসের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নুপুরের শাশুরী শিরিন বেগম বলেন, গত রাতে সে আমার সাথে একই বিছানায় শুয়েছিল। পাশের খাটে শিরিন বেগমের ভাগিনা টাঙ্গাইল সদরের কাতুলী গ্রামের মিথুন ও ভাতিজা রাব্বি নুপুরের শশুর আশোক আলীর বিছানায় শুয়েছিল। রাত দুইটার সময় তারা নুপুরকে বিছানায় পায়নি। দরজা খোলা দেখতে পেয়ে নুপুরের বাড়িতে ফোনে জানান।
এদিকে একই ঘরে ১৮/১৯ বছরের দুজন যুবক আত্মিয় রাতে বাড়িতে থাকার পর সকাল থেকে তাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় নুপুরের পরিবারে সন্দেহের তীর অনেকটাই আত্মীয়দ্বয়ের দিকে।
এদিকে বাড়ির পাশে এতো যায়গা থাকতে এক কিমি: দুরে গাছের পরিবর্তে দুর্বল একটি আড়ায় ফাঁস নেওয়াকে নুপুরের পরিবার থেকে আত্মহত্যা নয়, হত্যার অভিযোগ করেছেন।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নুপুরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...