তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের শাহীন শিক্ষা পরিবারের আবাসিক শিক্ষার্থীদের উপরে শিক্ষকের মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা অসুস্থ অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নবম শ্রেণীর কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থীর সাথে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির আবাসিক ভবন পরিচালক বাবুল হোসেনের কাছে অভিযোগ করে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়টির আবাসিক ভবন পরিচালক দশম শ্রেণীর ১০/১২জন শিক্ষার্থীকে ভবনের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। ডেকে নিয়ে কক্ষ বন্ধ করে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি দিয়ে মারধর করে। এ মারধরের প্রতিবাদ করায় বগুড়া জেলার তালোরা এলাকার আলহাজ্ব সামাদ মিয়ার ছেলে ও প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণীর ছাত্র রিজভীর উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পৈশ্বাচিক কায়দায় লোহার রড আগুনে পুড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়।
এ সময় অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা রিজভীসহ আহত ৫ শিক্ষার্থীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নির্যাতনে আহত বাকি ৫/৬জন শিক্ষার্থী আবাসিক ভবন থেকে পালিয়ে গেছে বলেও জানায় অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে জানায়, প্রতিনিয়তই এ বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়ে আসছেন অভিযুক্ত এই শিক্ষক। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবীও তুলেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী রিজভী আহমেদ, জনি আহমেদ, ইরান হোসেন ও নাফি শেখকে শাহীন শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিদ্যালয় ভবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
পৈশ্বাচিক ও বর্বরোচিত এই নির্যাতনের বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা বলে জানিয়েছেন তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...